২০১১ সালে অভিষেকের পর জাতীয় দলের স্বীকৃত অলরাউন্ডার হয়ে বেশ কয়েকটি বছর কাটিয়েছেন নাসির হোসেন। এক সময় তাকে ‘মিস্টার ফিনিশার’বলা হতো।

এরপর নানা বিতর্কে জড়িয়ে পেয়েছেন ক্রিকেটের ‘ব্যাড বয়’ তকমা। ফর্ম হারিয়ে কয়েক বছর শুধু পানি টানার কাজটাই করে গেছেন।

২০১৮ সালের পর থেকে সেটাও করতে পারেননি।স্কোয়াড থেকেই হাওয়া তিনি। সবমিলিয়ে গত ৪ বছরে লাল-সবুজের জার্সি গায়ে চাপাতে পারেননি নাসির।

তবে এই চার বছরে অক্রিকেটীয় কাণ্ড ঘটিয়ে নেতিবাচক খবরে ছিলেন আলোচনায়। এবার সব বির্তক, সমালোচনাকে পেছনে ফেলে জাতীয় দলে ফেরার প্রত্যয়ী এ অলরাউন্ডার। ফিরে পেতে চান সেই মিস্টার ফিনিশার খেতাব।

সে লক্ষ্য পূরণে বেছে নিলেনআসন্ন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগকে। এবার ডিপিএলে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে খেলবেন নাসির।

নাসির জানালেন, যেখানেই খেলেন না কেন সবসময় পারফর্ম করার চেষ্টা করেন। আর ডিপিএলে ভালো খেলে ফের জাতীয় দলে অন্তর্ভূক্তির সুযোগ নেবেন পুরোদমে।

রোববার মিরপুরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নাসির বললেন, ‘যেখানেই খেলি না কেন সবসময় পারফর্ম করার চেষ্টা করি। আমার মতো সব খেলোয়াড়ই জাতীয় দলে খেলতে চায়। আমিও চাই।

কিন্তু এটার একটা প্রক্রিয়া আছে। পারফর্ম করেই জাতীয় দলে খেলতে হবে। তাই পারফরম্যান্সের দিকেই আমার ফোকাস বেশি। পারফর্ম না করলে তো যেতে পারবেন না। তাই ওই জিনিস নিয়ে চিন্তা করতে গিয়ে পারফরম্যান্স খারাপ করলে হবে না। ডিপিএলে কীভাবে পারফর্ম করব, কীভাবে দলকে জেতাব এটাই এখন আমার মনোযোগ। পারফর্ম করলে সহজ হবে।’

তবে কাজটা যে কণ্টকাকীর্ণ তা মানছেন নাসির। বললেন, ‘ আসলে আমি অনেক দিন ধরেই খেলার বাইরে। সবশেষ জাতীয় লিগ খেলেছি, তারপর আর সেভাবে ম্যাচ খেলা হয়নি। তাই এটা আমার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট।সব টুর্নামেন্টই একজন খেলোয়াড়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তো এটা আমার জন্য একটা সুযোগ। এখানে পারফর্ম করে যেন আবার আমি জাতীয় দলের কাছাকাছি আসতে পারি। এটাই ফোকাস থাকবে।’

প্রসঙ্গত, লাল-সবুজের জার্সি গায়ে ১৯ টেস্ট, ৬৫ ওয়ানডে ও ৩১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন নাসির হোসেন। টেস্টে এ অলরাউন্ডারের সংগ্রহ ১০৪৪ রান, ওয়ানডেতে ১২৮১ রান রয়েছে তার। ওয়ানডেতে ৬টি হাফসেঞ্চুরি ও ১টি সেঞ্চুরি রয়েছে এ ব্যাটারের। তিন ফরম্যাট মিলে এখন পর্যন্ত ৩৯টি উইকেট সংগ্রহ করেছেন নাসির।

 

কলমকথা / সাথী